একটি পুকুরের রহস্য - Bengali রহস্যময় আধ্যাত্মিক। Suspense Story in Bengali

0

পুকুরের পুনর্জীবন: পরিবেশ রক্ষার এক অনুপ্রেরণামূলক গল্প

একটি পুকুরের রহস্য - Bengali রহস্যময় আধ্যাত্মিক। Suspense Story in Bengali

প্রিয় বন্ধুগণ, আজ তোমাদের জন্য Info Edu Story নিয়ে এসেছে একটি রহস্যময় আধ্যাত্মিক গল্প গল্পের নাম 'একটি পুকুরের রহস্য' (Ekti Pukurer Rohosyo)। গল্পের রচয়িতা সারমিন সরকার, সহায়তায় সেখ সামিম। 

আমাদের এই ওয়েবসাইট তোমরা পাবে, প্রেমের দুঃক্ষের কাহিনী, ভালোবাসার করুন কাহিনী, কষ্টের গল্প, সুন্দর সুন্দর ভুতের গল্প ,ব্যর্থ প্রেমের কষ্টের গল্প, ভুতের গল্প বাচ্চাদের ,ভুতের গল্প সমগ্র ,দুঃখের কাহিনী ,প্রেমের কাহিনী,মজার গল্প,Bengali দুঃখের কাহিনী ,বাংলা দুঃখের গল্প । 

Most Suspense Educational Story | Spiritual Bengali Story | Bengali Spiritual Stories

আমাদের ওয়েবসাইট এ সংকলিত রয়েছে ভুতের গল্প , প্রেমের গল্প , অভিযানের গল্প , বিজ্ঞানবিষয়ক গল্প ,রহস্যময় গল্প ,অসমাপ্ত কষ্টের প্রেমের গল্প, হাসির গল্প , মজার গল্প , ব্যর্থ প্রেমের গল্প কাহিনী , উপন্যাস এবং ছোট গল্প,সফলতার শিক্ষনীয় গল্প,ইসলামিক শিক্ষনীয় গল্প,শিক্ষনীয় গল্প ও শিক্ষামূলক ঘটনা,শিক্ষনীয় কষ্টের গল্প,হাসির শিক্ষনীয় গল্প,শিক্ষনীয় ছোট গল্প পিডিএফ,শিক্ষনীয় মোটিভেশনাল গল্প, হাদীসের শিক্ষনীয় গল্প ,রহস্যময় প্রেমের গল্প,রহস্যময় গল্প পিডিএফ,রহস্যময় গল্পের বই,রহস্যময় মজার গল্প,রহস্যময় ভূতের গল্প,রহস্যময় গোয়েন্দা গল্প,পুলিশ ম্যাডাম রহস্য গল্প,সেরা রহস্য গল্প।

বাংলা সেরা রহস্য গল্প - 'একটি পুকুরের রহস্য'।রহস্যময় আধ্যাত্মিক গল্প। Bengali Susupense Story 

একটি পুকুরের রহস্য 

একটি ছোট্ট গ্রামে ছিল এবং সেই গ্রামটি একটি পুকুর কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল । পুকুরটি ছিল গ্রামবাসীদের জন্য এক প্রকার জীবনের উৎস, কারণ গ্রামবাসীরা বিভিন্ন ভাবে পুকুরের জলকে ব্যবহার করতো । পুকুরের চারপাশে ছিল বড় বড় গাছ, তাদের ছায়ায় বসে গ্রামের বাচ্চারা খেলা করত, পুকুরের জল এতটাই সুমধুর ছিল যে একবার ওই জল পান করলে মন তৃপ্তিতে ভরে যেত,,। পুকুরটির জল এতটাই স্বচ্ছ ছিল যে পুকুরের জল আয়নার মতো কাজ করতো অনেকের কাছে।  কেউ কেউ তো সাজগোজ করতে আসতো পুকুরের ধারে।জলের মধ্যে থাকা পাথর গুলোও উপর থেকে দেখা যেত। পুকুরের মধ্যে ছোট ছোট মাছেরা আনন্দে সাঁতার কাটত এবং জলের উপর ফুলের পাপড়িগুলো ভাসত।

গ্রামের মানুষদের কাছে পুকুরটি শুধুমাত্র এক জলাধার ছিলনা, বরং তাদের জীবনের অঙ্গ অর্থাৎ তাদের কাছে দেবতার সমান ছিল। এটি তাদের জন্য ছিল আশীর্বাদ, কারণ এখান থেকে তারা সারা বছর জল সংগ্রহ করত। গরমের দিনে পুকুরের জল আরও বেশি প্রয়োজনীয় হয়ে উঠত। এই পুকুরের এক ইতিহাস আছে অনেক বৃদ্ধ মানুষ বলেন নাকি অনেক যুগ আগে এখানে নাকি  একজন মহাজ্ঞানী সাধুর আশ্রম ছিল। কিন্তু তার জল পান করার জন্য  অনেক সমস্যা হতো কারণ আসে পাশে কোনো জলাশয় ছিলনা।  সেই জন্য তিনি তপস্যা করেছিলেন দেবতার কাছে।  আর সাধুর উপর দেবতা খুশি হয়ে একটি বর দিয়েছিলেন।  তিনি যেখানে পুকুর করতে চান সেখানে একটু জল দিলেই সেটি বড়ো একটি পুকুরে পরিণত হয়ে যাবে।  আর তখন থেকে নাকি এই পুকুরের জল শেষ হয়নি কোনো দিন।

ক্রমশ যুগ বদলেছে বদলেছে মানুষ। আবার  অনেকে বলতেন যে,  সেই সময়ের রাজার সাধুটির প্রতি ঈর্ষা জন্মেছিল কারণ তখন চারিদিকে সাধু বাবার জয় জয় কার শোনা যেত।  তাই রাজা সাধুর প্রতি ঈর্ষা থেকে রাগে সিদ্ধান্ত নেন যে, যেই জায়গায় পুকুরটি হয়েছিল সেই জায়গাটিতে  রাজা রাজবাড়ী বানাতে চান। কিন্তু সেই কথা শুনে প্রজারা বিক্ষোভ করেন তাই রাজা তার পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে পারেন না ।  যেহেতু রাজার স্বপ্ন সত্য হয়নি তাই  পরবর্তীকালে রাজা রাগে  সাধুর আশ্রমটিকে ভেঙে দিয়েছিলো। আর তার ধ্বংসাবেশ নাকি এই পুকুরের তলদেশে আছে। সেই আশ্রমের ধ্বংসাবেশের সন্ধানে গ্রামের শিশুরা মাঝে মাঝে পুকুরের তলদেশে সাঁতার কাটতে যেত। তবে কেউ কখনো তাদের হারানো সময়ের নিদর্শন খুঁজে পায়নি।

কিন্তু একদিন, গ্রামবাসীরা লক্ষ্য করল যে, পুকুরের জল হঠাৎ করে কমে যেতে শুরু করেছে। প্রথমে তারা ভাবল, এটি হয়তো সাধারণ কারণ, বছরের কিছু সময়ে জল কমে যায়। তবে সময় গড়ানোর সাথে সাথে পুকুর আরও শুকিয়ে যেতে থাকল। পুকুরের তলদেশের পাথরগুলোর সীমানা স্পষ্ট হয়ে পড়ল, এবং যেখানে আগে সবসময় ছিল পরিষ্কার জল, এখন সেখানে কেবল মাটির রুক্ষ কণা। গ্রামবাসীদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হল—কি হয়েছে পুকুরের?

গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তিরা বললেন, "এই পুকুরে কিছু রহস্য লুকিয়ে আছে।" তারা মনে করতেন, পুকুরের জল কমে যাওয়ার পেছনে কোনো প্রাচীন ইতিহাস রয়েছে, হয়তো কিছু অতিপ্রাকৃত শক্তি বা পুরনো কোনো অভিশাপ ছিল, যা আজ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে বেশিরভাগ গ্রামবাসী একে মহাজ্ঞানী সাধুর আশ্রমের ধ্বংসাবশেষের সাথে যোগ দিয়েছিল এবং তারা ভাবত, সেই সাধু হয়তো কোনো কারণে পুকুরের জল কমিয়ে দিয়েছেন, যাতে গ্রামবাসীরা ভুলে যায় তার আশ্রমের কথা। এভাবে গ্রামের মানুষজন তাদের নিজেদের মধ্যে ধারণা করলেন । 

পুকুরের জল কমে যাওয়ার সাথে সাথে গ্রামবাসীদের মধ্যে নানা ধরনের সন্দেহ ও উদ্বেগ সৃষ্টি হলো। তবে, একটি বিষয় সবার নজরে আসতে শুরু করলো—পুকুরের তলদেশে জমে থাকা প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন, নষ্ট ফেলা জিনিসপত্র আর নানা ধরনের বর্জ্য। যেগুলো আগে কখনো পুকুরে দেখা যেত না। অল্প কিছু সময়ের মধ্যে পুকুরের চারপাশে মানুষের ব্যবহৃত প্লাস্টিকের সামগ্রী আর বর্জ্যের স্তূপ দেখা গেল। গ্রামবাসীরা, যারা এক সময় পুকুরের জল ব্যবহার করতো, তারা এখন সেখানে ময়লা ফেলে নিজেদের পরিবেশের প্রতি অবহেলা দেখাচ্ছিল।

যতটা পুকুরের জল কমে গেছে, ততটা দ্রুত বাড়ছে মানুষের অবাধ ও অযত্নপূর্ণ ব্যবহার। ধীরে ধীরে, গ্রামবাসীরা ভুলে গিয়েছিল যে, তাদের কাছে পুকুরটা শুধু জল সংগ্রহের স্থান ছিল না, বরং এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত উপাদান, যার রক্ষায় তাদেরও ভূমিকা ছিল। এক সময় তারা নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে আসতো পুকুরে, কিন্তু এখন আর কোনো দায়িত্ববোধ তাদের মধ্যে ছিল না।

শিশুরা পুকুরের তলদেশে সাঁতার কাটতে যেত, কিন্তু তারা আর কখনো সেই প্রাচীন আশ্রমের কোনো নিদর্শন খুঁজে পায়নি। তারা খুঁজছিল, কিন্তু ভুলেই গিয়েছিল যে, পুকুরের তলদেশে শুধু ঐতিহাসিক নিদর্শনই নয়, পরিবেশেরও এক ধরনের ভারসাম্য ছিল। আজ তারা যে জল খাচ্ছিলো, তার প্রতি দায়িত্ববোধ ছিল না। তাঁরা এই ভুলে গিয়েছিল যে, পরিবেশের ভারসাম্য না রাখলে এর পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।

একদিন, গ্রামবাসীদের মধ্যে একটি গ্রাম্য সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এক প্রবীণ ব্যক্তি উঠে বললেন, "আমরা সবাই জানি, আমাদের পুকুর এক সময় ছিল এক সোনালি উৎস। কিন্তু আজ আমরা কি করছি? আমাদের অযত্ন, অবহেলা এবং দূষণের কারণে এই পুকুরটি হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা যদি নিজেদের এই ভুল না বুঝতে পারি, তাহলে হয়তো একদিন এই পুকুরের কোনো চিহ্নও থাকবে না।"

এ কথাগুলো শুনে গ্রামের অনেকেই হিমশিম খেয়ে গেল। সত্যিই তো, তারা নিজেরাই পুকুরটিকে দূষিত করে ফেলেছে। ধীরে ধীরে সেই একই পুকুর, যে পুকুর এক সময় গ্রামের জীবনকে বাঁচিয়ে রেখেছিল, আজ তার অস্তিত্বই বিলীনের মুখে।

গ্রামের একজন যুবক, রাহুল, তার বাবা-মাকে পুকুরের অবস্থা দেখিয়ে বললেন, "এখন সময় এসেছে, আমরা সবাই মিলে এই পুকুরকে রক্ষা করি। আমাদের উচিত, এখানে আর কোনো ময়লা বা প্লাস্টিক না ফেলা, জলকে পরিষ্কার রাখা।"

রাহুলের কথা শুনে গ্রামের অন্যরা একে অপরকে সমর্থন করল। তারা সিদ্ধান্ত নিল, তারা নিজেদের পরিবেশকে রক্ষা করতে করবে। প্রতিদিন সকালে সবাই মিলে পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার করবে, এবং যত্ন নেবে যাতে পুকুরের জল আবার সজীব হয়ে ওঠে।

এছাড়াও, তারা সিদ্ধান্ত নিল যে, প্লাস্টিক ব্যবহার একেবারে কমানো হবে। পুকুরের পাশে ছোট ছোট কন্টেইনার রাখা হবে, যেখানে সবাই তাদের বর্জ্য ফেলে আসবে। পুকুরের কাছে ফেলা ময়লা বন্ধ করার জন্য তারা সজাগ থাকবে, এবং যতটা সম্ভব তারা পরিবেশ বান্ধব উপকরণ ব্যবহার করবে।

এই পরিবর্তন শুরু হতে সময় নেয়নি। গ্রামের মানুষ বুঝতে পারল যে, একেকটি ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে তাদের পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা ও সজাগতা বাড়ানো যায়। তারা যদি নিজেদের দায়িত্ব পালন না করত, তাহলে হয়তো একদিন পুকুরটি হারিয়ে যেতে পারত, এবং তার সঙ্গে পুরো গ্রামের জীবনের একটা অংশও হারিয়ে যেত।

তবে যখন সবাই একসঙ্গে কাজ করতে শুরু করল, তখন পুকুরের জল আবার আগের মতো স্বচ্ছ হতে শুরু করল। জলাশয়ের চারপাশে আবার গাছপালা গজাতে শুরু করল, এবং ছোট মাছেরা আবার ফিরে আসতে লাগল। পুকুরটি আবার আগের মতো সজীব ও প্রাণবন্ত হয়ে উঠল। এই অভিজ্ঞতা থেকে গ্রামবাসীরা শিখল যে, ছোট ছোট পদক্ষেপই পারে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে, আর পরিবেশ রক্ষা করার দায়িত্বটা কেবল সরকারের নয়, আমাদের সবারই।

আজও, সেই পুকুর গ্রামবাসীদের জন্য শুধুমাত্র জলাধার নয়, বরং একটি শিক্ষা হিসেবে রয়ে গেছে। তারা জানে, যদি প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি সতর্ক না থাকে, তাহলে কোনো এক সময় তাদের জীবনেও বিপর্যয় আসবে। তারা বুঝতে পেরেছে, একটি ছোট্ট পরিবর্তনও, যখন তা সবার প্রচেষ্টায় আসে, তখন তা বিশ্ব পরিবর্তন করতে সক্ষম।

পরিশেষে, এই কাহিনী আমাদের এক শিক্ষাই দেয়— আমাদের পরিবেশ রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব, এবং একসাথে কাজ করলে আমরা ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে পৃথিবীকে আরও সুন্দর এবং সবুজ করে তুলতে পারি।


একটি পুকুরের রহস্য থেকে ১০টি MCQ প্রশ্ন:

প্রশ্ন ১: গ্রামবাসীদের কাছে পুকুরটি কী ছিল?

ক) একটি বড়ো গাছ

খ) জীবনের উৎস

গ) এক মন্দির

ঘ) একটি খেলার মাঠ

উত্তর: খ) জীবনের উৎস


প্রশ্ন ২: পুকুরের জল কেমন ছিল?

ক) ময়লা এবং নোংরা

খ) স্বচ্ছ এবং আয়নার মতো

গ) ঘোলা এবং মাটিযুক্ত

ঘ) গাঢ় সবুজ রঙের

উত্তর: খ) স্বচ্ছ এবং আয়নার মতো


প্রশ্ন ৩: পুকুরের ইতিহাস অনুযায়ী, জল কোথা থেকে এসেছিল?

ক) পাহাড় থেকে

খ) দেবতার আশীর্বাদে

গ) মাটির নিচ থেকে

ঘ) নদী থেকে

উত্তর: খ) দেবতার আশীর্বাদে


প্রশ্ন ৪: গ্রামের মানুষ পুকুরে কী ফেলার অভ্যাস করেছিল?

ক) পাথর

খ) প্লাস্টিক এবং বর্জ্য

গ) খাদ্য

ঘ) মাটি

উত্তর: খ) প্লাস্টিক এবং বর্জ্য


প্রশ্ন ৫: পুকুরের জল শুকিয়ে যাওয়ার পর গ্রামবাসীরা কী দেখল?

ক) পুকুরে অনেক মাছ

খ) আশ্রমের নিদর্শন

গ) পলিথিন এবং প্লাস্টিক

ঘ) একটি পুরনো সেতু

উত্তর: গ) পলিথিন এবং প্লাস্টিক


প্রশ্ন ৬: গ্রামের সভায় প্রবীণ ব্যক্তি কী বলেছিলেন?

ক) রাজা এই পুকুর তৈরি করেছিলেন

খ) গ্রামবাসীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারছে না

গ) পুকুরকে মাটি দিয়ে ভরাট করা উচিত

ঘ) পুকুরে বেশি মাছ চাষ করা উচিত

উত্তর: খ) গ্রামবাসীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পারছে না


প্রশ্ন ৭: রাহুল গ্রামবাসীদের কী পরামর্শ দিয়েছিল?

ক) পুকুরটিকে ভরাট করে একটি মন্দির বানানো

খ) পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা

গ) পুকুরের জল বিক্রি করা

ঘ) পুকুরে নতুন মাছ ছাড়ার পরিকল্পনা

উত্তর: খ) পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার রাখা


প্রশ্ন ৮: গ্রামবাসীরা পুকুরের দূষণ কমানোর জন্য কী পদক্ষেপ নিয়েছিল?

ক) পুকুরটি বন্ধ করে দেওয়া

খ) প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো

গ) নতুন গাছ লাগানো বন্ধ করা

ঘ) পুকুরে মাছ ধরা বন্ধ করা

উত্তর: খ) প্লাস্টিক ব্যবহার কমানো


প্রশ্ন ৯: গ্রামবাসীরা পুকুরের জল কীভাবে আবার স্বচ্ছ করেছিল?

ক) পুকুরের চারপাশে কন্টেইনার রাখা

খ) পুকুর থেকে সব মাছ সরিয়ে ফেলা

গ) পুকুরে নতুন জল যোগ করা

ঘ) পুকুরের চারপাশের গাছ কেটে ফেলা

উত্তর: ক) পুকুরের চারপাশে কন্টেইনার রাখা


প্রশ্ন ১০: এই গল্পটি আমাদের কী শিক্ষা দেয়?

ক) পুরনো ঐতিহ্যগুলো ভেঙে ফেলা উচিত

খ) পরিবেশ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব

গ) নদী থেকে জল সংগ্রহ করা উচিত

ঘ) পুকুরে কোনো পরিবর্তন আনা উচিত নয়

উত্তর: খ) পরিবেশ রক্ষা আমাদের দায়িত্ব


Short Answer Questions (SAQ)

1. পুকুরটি গ্রামের মানুষের জীবনে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত?

উত্তর: পুকুরটি গ্রামবাসীদের জল সংগ্রহ, খেলা, সাজগোজ এবং জীবনের বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত। এটি তাদের কাছে দেবতার সমান ছিল।


2. মহাজ্ঞানী সাধুর আশ্রমে পুকুরটি কীভাবে সৃষ্টি হয়েছিল?

উত্তর: মহাজ্ঞানী সাধু দেবতার কাছে তপস্যা করলে দেবতা তাকে আশীর্বাদ দেন, যেখানে একটু জল ঢালা হবে, সেখানে একটি বড় পুকুর সৃষ্টি হবে।


3. পুকুরের জল কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে গ্রামবাসীরা কী মনে করেছিল?

উত্তর: গ্রামবাসীরা মনে করেছিল পুকুরের জল কমে যাওয়ার পেছনে প্রাচীন অভিশাপ, অতিপ্রাকৃত শক্তি, বা সাধুর ইতিহাস জড়িত।


4. পুকুরের তলদেশে কী ধরনের বর্জ্য দেখা গিয়েছিল?

উত্তর: পুকুরের তলদেশে প্লাস্টিকের বোতল, পলিথিন, নষ্ট জিনিসপত্র এবং নানা ধরনের বর্জ্য দেখা গিয়েছিল।


5. রাহুল গ্রামবাসীদের কী উপদেশ দিয়েছিল?

উত্তর: রাহুল উপদেশ দিয়েছিল পুকুরে আর ময়লা না ফেলার, জলকে পরিষ্কার রাখার এবং পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহারের।


6. পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে গ্রামবাসীরা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছিল?

উত্তর: গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রতিদিন পুকুরের চারপাশ পরিষ্কার করবে এবং প্লাস্টিক ও বর্জ্য ফেলার জন্য কন্টেইনার ব্যবহার করবে।


7. গ্রামবাসীদের পদক্ষেপের ফলে পুকুরের কী পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল?

উত্তর: গ্রামবাসীদের প্রচেষ্টায় পুকুরের জল আবার স্বচ্ছ হয়ে উঠল, গাছপালা গজাতে শুরু করল এবং মাছেরা ফিরে এল।


8. এই গল্পটি থেকে কী শিক্ষা পাওয়া যায়?

উত্তর: পরিবেশ রক্ষা করা আমাদের সবার দায়িত্ব এবং ছোট ছোট পদক্ষেপের মাধ্যমে বড় পরিবর্তন আনা সম্ভব।

কেমন লাগলো গল্পটি অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ো 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
তারানাথ তান্রিক সমগ্র
তারানাথ তান্রিক সমগ্র - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় ও তারাদাস বন্দোপাধ্যায়