মুক্তি: সেরা ভূতের গল্প | Bengali Horror Story by Sk Samim
আমাদের এই ওয়েবসাইট তোমরা পাবে সুন্দর সুন্দর ভুতের গল্প , ভুতের গল্প বাচ্চাদের , ভুতের গল্প সমগ্র , ভয়ংকর ভুতের গল্প বই , ভুতের গল্প বই পিডিএফ , ভুতের গল্প লেখা , ভয়ংকর ভুতের গল্প ছোট , ভুতের গল্প সত্য ঘটন, রূপকথার ভুতের গল্প , মজার ভুতের গল্প,বিশ্বের সেরা ভূতের গল্প।
আমাদের ওয়েবসাইট এ সংকলিত রয়েছে ভুতের গল্প , প্রেমের গল্প , অভিযানের গল্প , বিজ্ঞানবিষয়ক গল্প ,রহস্যময় গল্প , হাসির গল্প , মজার গল্প , উপন্যাস এবং ছোট গল্প
ভয়ঙ্কর হাড় হীম করা ভূতের গল্প - 'মুক্তি'। একটি ভৌতিক অভিজ্ঞতা। Bengali Horror Story
'মুক্তি'
সামির এবং রাহুল, দুজনেই স্কুল শিক্ষক, ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহকর্মী। সামির পড়াতেন পদার্থবিজ্ঞান, আর রাহুল ছিলেন গণিতের শিক্ষক। দুজনেই গ্রামে অবস্থিত একটি উচ্চ বিদ্যালয়ে কাজ করতেন। তারা প্রায়ই তাদের অবসর সময়ে জীবন, রহস্য এবং অদ্ভুত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেন। কিন্তু তারা জানত না যে এক রাত তাদের জীবনে এমন অভিজ্ঞতা এনে দেবে, যা চিরদিন মনে থাকবে।
এক শুক্রবার বিকেলে ভীষণ ঝড় উঠল, যার কারণে বাড়ি ফেরা অসম্ভব হয়ে পড়ল। স্কুলের পিয়ন শঙ্কর তাদের তার বাড়িতে রাত কাটানোর প্রস্তাব দিলেন। শঙ্করের বাড়ি স্কুল ক্যাম্পাসের প্রান্তে ছিল। প্রথমে একটু দ্বিধা থাকলেও, অন্য কোনও বিকল্প না থাকায় তারা রাজি হয়ে গেল।
শঙ্করের বাড়ি ছিল একটি পুরনো কাঠের ঘর, চারপাশে ঘন গাছপালা। মিটমিটে লণ্ঠনের আলো ঘরটিকে আরও ভৌতিক করে তুলেছিল। ডিনারের সময় শঙ্কর একটি বিষয় উল্লেখ করলেন, যা রাতের পরিবেশকে আরও ভারী করে তুলল।
“মাস্টারমশাই, জানেন তো, এই স্কুলের একটা অংশে মাঝেমধ্যেই অদ্ভুত কিছু ঘটে?”
সামির এবং রাহুল একে অপরের দিকে তাকালেন। সামির প্রশ্ন করলেন, “কীরকম অদ্ভুত?”
শঙ্কর একটু কাছে এসে ফিসফিস করে বললেন, “অনেক আগের কথা। এই স্কুলের লাইব্রেরি রুমে এক ছাত্র হঠাৎ মারা গিয়েছিল। তারপর থেকে শোনা যায়, মাঝরাতে ওখানে কেউ যেন হাঁটে, দরজায় আওয়াজ হয়।”
সামির, যিনি যুক্তিবাদী, হেসে বললেন, “ভূত? শঙ্কর, তুমি আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছ?”
রাহুল কিছু না বললেও মনে হচ্ছিল, সে বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত।
রাত তখন প্রায় ১১টা। ঝড় থেমে গিয়েছিল। শঙ্করের গল্পে প্রভাবিত হয়ে সামির এবং রাহুল স্কুলে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। কৌতূহল তাদের ঘর ছাড়তে বাধ্য করল। একটা টর্চলাইট নিয়ে তারা লাইব্রেরির দিকে রওনা দিলেন।
স্কুলের করিডর পুরো নীরব ছিল। কাঠের মেঝের আওয়াজ ছাড়া আর কোনও শব্দ শোনা যাচ্ছিল না।
লাইব্রেরিতে পৌঁছে তারা দেখতে পেলেন, ঘরটি অদ্ভুত ঠাণ্ডা। মনে হচ্ছিল, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে গেছে।
“এত ঠাণ্ডা লাগছে কেন?” রাহুল ফিসফিস করে বলল।
“পুরো ব্যাপারটাই গল্প। কিচ্ছু হবে না,” সামির বলল। কিন্তু তার কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসের অভাব স্পষ্ট ছিল।
তারা লাইব্রেরির ভেতরে ঢুকল। ধুলো জমে থাকা বইয়ের তাকগুলো ছিল নিঃশব্দ রক্ষক। হঠাৎ টর্চলাইটের আলোতে একটি বই পড়ে যাওয়ার শব্দ হল।
“ওই দেখ, ওইদিকে কিছু পড়ল,” রাহুল আতঙ্কিত স্বরে বলল।
সামির বইটি তুলতে গেল। কিন্তু হঠাৎ টর্চলাইট ঝিকমিক করে উঠল। কয়েক সেকেন্ডের জন্য পুরো ঘর অন্ধকারে ঢেকে গেল।
আলো ফিরে আসার সঙ্গে সঙ্গে রাহুল ভয়ে কেঁপে উঠল। “ওই দেখ, ওইদিকে কিছু নড়ল!” সে দূরের এক কোণে আঙুল দেখাল।
একটি ছায়া নড়ল। মানুষের মতো আকৃতির, কিন্তু স্পষ্ট নয়। চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে উঠল। মনে হচ্ছিল, শ্বাস নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
“কেউ আছে?” সামির জোরে বলল। তার কণ্ঠস্বর করিডোরে প্রতিধ্বনিত হল। কোনও উত্তর এল না। তবে ছায়াটি আরও কাছে এগিয়ে এল।
হঠাৎ ঘরটিতে একটি ঠাণ্ডা হাসির শব্দ ভেসে এল। শব্দটি কোথা থেকে আসছে বোঝা যাচ্ছিল না। রাহুল সামির হাত ধরে বলল, “চলো এখানে থেকে লাভ নেই!”
তারা দরজার দিকে এগোতে গেলে দরজাটি নিজে থেকেই সজোরে বন্ধ হয়ে গেল। ভয়ে তাদের পা জমে গেল।
হাসির শব্দটি ক্রমে কাঁদায় পরিণত হল। তারপর একটি চাপা গলা ফিসফিস করে বলল, “তোমরা এখানে কেন?”
সামির এবং রাহুল ভয়ে জমে গেল। একটি ছেলের অবয়ব ধীরে ধীরে তাদের সামনে দৃশ্যমান হল। তার চোখ দুটি ছিল অন্ধকারে পূর্ণ। মনে হচ্ছিল, সে কোনও ছাত্র।
“আমি এখান থেকে যেতে পারছি না,” ছেলেটি দুঃখী গলায় বলল।
সামির, যিনি এখনও যুক্তি ধরে রাখার চেষ্টা করছিলেন, বললেন, “কে তুমি? কীভাবে এখানে আটকে পড়েছ?”
ছেলেটি তার হাত তুলে একটি তাকের দিকে দেখিয়ে বলল, “ওইখানে আমার নাম লেখা আছে। খুঁজে দেখ।”
রাহুল ভয় পেয়েও তাকের কাছে গিয়ে একটি পুরনো রেজিস্টার খুঁজে পেল। সেটির পাতা উল্টাতে সে একটি নাম দেখতে পেল—“ঋত্বিক দাস।” তারিখ ছিল বিশ বছর আগের, এবং নোটে লেখা ছিল, “লাইব্রেরি রুমে অজানা কারণে মৃত্যু।”
“আমি ঋত্বিক। আমি মুক্তি চাই,” ছেলেটি বলল। তারপর ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল।
দরজা ধীরে ধীরে খুলে গেল। সামির এবং রাহুল দ্রুত বাইরে বেরিয়ে এল, তাদের হৃদস্পন্দন প্রচণ্ড বেড়ে গিয়েছিল।
পরদিন সকালে শঙ্করকে সব বললে সে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। “মাস্টারমশাই, আমি আপনাদের আগেই বলেছিলাম। ঋত্বিকের আত্মা এখনও শান্তি পায়নি। অনেক পুরোহিত ডাকা হয়েছিল, কিন্তু কিছুতেই কাজ হয়নি।”
সামির এবং রাহুল আর কখনও স্কুলে দেরি করে থাকেননি। তবে ঋত্বিকের শূন্য চোখ আর তার করুন কণ্ঠ তারা কখনও ভুলতে পারেননি। তারা প্রায়ই ভাবতেন, তারা কি ঋত্বিককে শান্তি দেওয়ার জন্য আরও কিছু করতে পারত? সেই রাতের অভিজ্ঞতা তাদের মনে চিরদিনের জন্য ভয় এবং দুঃখের ছাপ রেখে গিয়েছিল।
সামির এবং রাহুলের জন্য সেই রাত একটি চরম অভিজ্ঞতা হয়ে উঠেছিল। ঋত্বিকের আত্মা এবং লাইব্রেরি রুমে ঘটে যাওয়া অদ্ভুত ঘটনাগুলো তাদের মনের মধ্যে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। কিন্তু জীবন থেমে থাকে না। স্কুলের নিয়মিত পড়াশোনা এবং ছাত্রছাত্রীদের যত্ন নেওয়া, এইসব দায়িত্ব তাদের আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনল। তবে, তারা দুজনেই অনুভব করেছিল যে ঋত্বিকের আত্মা এখনও মুক্তি পায়নি, এবং কিছু একটা করতে হবে।
কয়েক সপ্তাহ পর এক শনিবার বিকেলে সামির এবং রাহুল শঙ্করের বাড়িতে বসে গল্প করছিল। সামির আচমকা বলল, “আমরা কি আবার লাইব্রেরিতে যাব? ঋত্বিকের ব্যাপারে আরও কিছু খুঁজে বের করার চেষ্টা করা উচিত। তার আত্মা যে এখানে বন্দি, তা কি চিরকাল এমনই থাকবে?”
রাহুল একটু দ্বিধা নিয়ে বলল, “কিন্তু গতবার যা হয়েছে, তার পরেও কি আর সেখানে যাওয়া উচিত? যদি আরও কিছু ভয়ঙ্কর ঘটে?”
শঙ্কর, যিনি তাদের আলোচনা শুনছিলেন, বলে উঠলেন, “মাস্টারমশাই, আমি আপনাদের সাহায্য করতে পারি। আমার দাদু একজন পুরোহিত ছিলেন। তিনি বলতেন, কোনও আত্মাকে মুক্তি দিতে হলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং সেই মৃত্যুর পেছনের কাহিনি জানতে হবে। হয়তো ঋত্বিকের মৃত্যুর সঙ্গে স্কুলের কোনও পুরনো ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে।”
সামির এবং রাহুল শঙ্করের কথায় উৎসাহিত হল। তারা সিদ্ধান্ত নিল যে এবার তারা পুরো বিষয়টি বিশদভাবে অনুসন্ধান করবে।
সোমবার সকালে, সামির এবং রাহুল স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিসেস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গেল। প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন একজন বিদুষী এবং রহস্যময় ঘটনাগুলি নিয়ে তিনি বিশেষ আগ্রহী।
“ম্যাডাম, আমরা জানতে চাই ঋত্বিক দাসের মৃত্যুর পেছনের সত্য,” সামির সরাসরি বলল।
মিসেস বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন। তারপর তিনি ধীরে ধীরে বললেন, “ঋত্বিক দাস ছিল অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। কিন্তু একটি ভুল অভিযোগের কারণে সে চাপে পড়ে। স্কুলে তার বিরুদ্ধে চুরি করার অভিযোগ ওঠে। পরে প্রমাণিত হয়েছিল যে সে নির্দোষ। কিন্তু এই মানসিক চাপ এবং অপমান সহ্য করতে না পেরে লাইব্রেরিতে আত্মহত্যা করে। তখনকার দিনের কিছু শিক্ষক এবং ছাত্র এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল, যাতে স্কুলের নাম খারাপ না হয়। কিন্তু সেই দুঃখিত আত্মা এখনও এখানে রয়ে গেছে।”
মিসেস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথাগুলো শুনে সামির এবং রাহুল বুঝতে পারল যে তাদের কাজ এখনও বাকি। ঋত্বিকের আত্মাকে মুক্তি দিতে হলে তার সঙ্গে অন্যায় করা লোকদের ভুল স্বীকার করানো দরকার। কিন্তু সমস্যাটা ছিল, সেই লোকেরা আর স্কুলের সঙ্গে যুক্ত নেই।
“তাহলে কি কোনও উপায় নেই?” রাহুল চিন্তিত হয়ে বলল।
“আছে,” মিসেস বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন। “তোমরা যদি ঋত্বিকের আত্মার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করো এবং তার মৃত্যুর সত্যিটা সবার সামনে আনো, তাহলে হয়তো সে মুক্তি পাবে।”পরবর্তী শনিবার রাত। সামির, রাহুল এবং শঙ্কর আবার লাইব্রেরিতে গেল। তারা মোমবাতি জ্বালিয়ে ঋত্বিকের জন্য প্রার্থনা শুরু করল। সামির বলল, “ঋত্বিক, আমরা জানি তোমার সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। আমরা তোমার জন্য ন্যায় বিচারের চেষ্টা করছি। আমাদের সাহায্য করো।”
হঠাৎ ঘরটা আবার ঠান্ডা হয়ে গেল। একটি কণ্ঠস্বর শোনা গেল, “তোমরা সত্যি আমার জন্য এটা করছ?”
রাহুল ভয়ে কেঁপে উঠে বলল, “হ্যাঁ, ঋত্বিক। আমরা চাই তোমার আত্মা শান্তি পাক। তুমি আমাদের জানাও, আর কী করতে হবে।”
একটি বই আবার তাক থেকে পড়ে গেল। বইটির ভেতরে একটি পুরনো পত্র ছিল, যেখানে ঋত্বিক তার মৃত্যুর আগে সত্যিটা লিখে গিয়েছিল। সেখানে লেখা ছিল, “আমি নির্দোষ। আমি কিছু চুরি করিনি। আমার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তারা ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আমি মুক্তি পাব না।”
সামির এবং রাহুল এই পত্রটি স্কুলের সভায় সবার সামনে পড়ে শোনাল। প্রধান শিক্ষিকা এবং অন্য শিক্ষকেরা ঋত্বিকের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন। সেই অনুষ্ঠানে ঋত্বিকের পরিবারের সদস্যরাও আমন্ত্রিত ছিলেন। সবাই মিলে ঋত্বিকের আত্মার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করল।
রাতের বেলা লাইব্রেরিতে সামির এবং রাহুল আবার প্রার্থনা করছিল। হঠাৎ তারা অনুভব করল, ঘরটি উজ্জ্বল হয়ে উঠল। ঋত্বিকের অবয়ব তাদের সামনে এল, এবার তার মুখে প্রশান্তির অভিব্যক্তি।
“ধন্যবাদ,” ঋত্বিক বলল। “তোমরা আমার জন্য যা করেছ, তা আমি কখনও ভুলব না। এবার আমি মুক্ত।”
তারপর ঋত্বিকের অবয়ব ধীরে ধীরে মিলিয়ে গেল। ঘরটি আবার আগের মতো নিঃশব্দ হয়ে গেল।
সামির এবং রাহুল এবার সত্যি শান্তি পেল। তারা জানত যে তারা একটি অবিচার ঠিক করতে পেরেছে। সেই রাতের পর থেকে স্কুলে আর কোনও অদ্ভুত ঘটনা ঘটেনি। লাইব্রেরি রুমটি আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠল।
কিন্তু সামির এবং রাহুল সেই অভিজ্ঞতা কখনও ভুলবে না। তারা জানত, সত্যি এবং সাহস একসঙ্গে থাকলে যে কোনও রহস্য সমাধান করা সম্ভব।
Horror Story MCQ Questions and Answers । মুক্তি গল্পের কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
1. সামির এবং রাহুল কী পেশায় ছিলেন?
A. ডাক্তার
B. ইঞ্জিনিয়ার
C. স্কুল শিক্ষক
D. লেখক
উত্তর: C. স্কুল শিক্ষক
2. শঙ্করের বাড়ি কোথায় অবস্থিত ছিল?
A. নদীর ধারে
B. স্কুল ক্যাম্পাসের প্রান্তে
C. জঙ্গলের মাঝে
D. শহরের কেন্দ্রে
উত্তর: B. স্কুল ক্যাম্পাসের প্রান্তে
3. শঙ্কর কোন ঘরে অদ্ভুত ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করেছিলেন?
A. শ্রেণীকক্ষ
B. লাইব্রেরি রুম
C. প্রধান শিক্ষকের অফিস
D. বিজ্ঞান গবেষণাগার
উত্তর: B. লাইব্রেরি রুম
4. ঋত্বিক দাসের মৃত্যুর কারণ কী ছিল?
A. দুর্ঘটনা
B. আত্মহত্যা
C. হৃদরোগ
D. অজানা অসুখ
উত্তর: B. আত্মহত্যা
5. লাইব্রেরি ঘরে প্রথম অদ্ভুত ঘটনা কী ঘটে?
A. দরজা বন্ধ হয়ে যায়
B. একটি বই পড়ে যায়
C. বাতি নিভে যায়
D. জানালা খুলে যায়
উত্তর: B. একটি বই পড়ে যায়
6. সামির এবং রাহুল কেন লাইব্রেরি ঘরে প্রবেশ করেছিলেন?
A. শঙ্করের গল্পের সত্যতা যাচাই করতে
B. ছাত্রদের খুঁজতে
C. প্রয়োজনীয় বই আনতে
D. একা সময় কাটাতে
উত্তর: A. শঙ্করের গল্পের সত্যতা যাচাই করতে
7. ঋত্বিক দাসের আত্মা কী চেয়েছিল?
A. প্রতিশোধ
B. শান্তি বা মুক্তি
C. নতুন বন্ধু
D. তার পরিবারকে খুঁজতে
উত্তর: B. শান্তি বা মুক্তি
8. সামির এবং রাহুলের জন্য কোন বস্তুটি সাহায্য করেছিল সত্য উদঘাটনে?
A. একটি পুরনো বই
B. একটি রেজিস্টার
C. একটি ছবি
D. একটি চিঠি
উত্তর: B. একটি রেজিস্টার
9. ঋত্বিকের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ আনা হয়েছিল?
A. চুরি
B. মারামারি
C. পরীক্ষায় ফাঁকি দেওয়া
D. মিথ্যা কথা বলা
উত্তর: A. চুরি
10. ঋত্বিকের মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল কেন?
A. স্কুলের সুনাম রক্ষার জন্য
B. পুলিশের তদন্ত এড়াতে
C. তার পরিবারকে বাঁচাতে
D. মিডিয়ার নজর এড়াতে
উত্তর: A. স্কুলের সুনাম রক্ষার জন্য
Horror Story SAQ Questions and Answers । মুক্তি গল্পের প্রশ্ন ও উত্তর
1. সামির এবং রাহুলের ভূতুড়ে ঘটনার সত্যতা যাচাই করার পদ্ধতিটি কীভাবে সঠিক ছিল?
উত্তর: সামির এবং রাহুল শঙ্করের গল্পের সত্যতা যাচাই করার জন্য লাইব্রেরিতে প্রবেশ করেছিলেন। তারা পুরনো রেজিস্টার এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য খুঁজে বের করে ঘটনাগুলোর সাথে যুক্ত সূত্রগুলো পরীক্ষা করেন। তাদের পর্যবেক্ষণ এবং সঙ্গতিপূর্ণ চিন্তাধারা ভূতের অস্তিত্ব সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
2. ঋত্বিকের আত্মার মুক্তি কেন জরুরি ছিল?
উত্তর: ঋত্বিকের আত্মা দুঃখ এবং অপরাধের বোঝা নিয়ে আটকে ছিল। তার মৃত্যুর পর তার প্রতি অবিচারের কারণে শান্তি পায়নি। আত্মার মুক্তি তার সঠিক বিচার এবং সত্য প্রতিষ্ঠার সাথে জড়িত ছিল, যা তার দুঃখ কমিয়ে দিতে পারে এবং তাকে চিরন্তন শান্তি দিতে পারে।
3. শঙ্করের গল্পে কি কোনো অতিরঞ্জিত উপাদান থাকতে পারে? কেন?
উত্তর: হ্যাঁ, শঙ্করের গল্পে অতিরঞ্জিত উপাদান থাকতে পারে। ভূতুড়ে ঘটনাগুলো সাধারণত জনশ্রুতি ও কল্পনার উপর নির্ভর করে তৈরি হয়। তার কথাগুলো সম্ভবত প্রকৃত ঘটনার ওপর ভিত্তি করে অতিরঞ্জিত করা হয়েছে, যাতে সে তার শ্রোতাদের আকর্ষণ করতে পারে।
4. স্কুল কর্তৃপক্ষ ঋত্বিক দাসের মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিল?
উত্তর: স্কুল কর্তৃপক্ষের মূল উদ্দেশ্য ছিল স্কুলের সুনাম অক্ষুণ্ণ রাখা। যদি ঋত্বিকের মৃত্যুর সত্য প্রকাশ পেত, তাহলে স্কুলটি বড় ধরনের বিতর্ক এবং আইনি জটিলতায় জড়িয়ে পড়ত। তাই তারা ঘটনাটিকে গোপন রাখার চেষ্টা করেছিল।
5. লাইব্রেরি ঘরের ভূতুড়ে ঘটনাগুলো কি প্রাকৃতিক কারণে হতে পারে? বিশ্লেষণ করো।
উত্তর: হ্যাঁ, ভূতুড়ে ঘটনাগুলো প্রাকৃতিক কারণে হতে পারে। পুরনো বই পড়ে যাওয়া বা বাতি নিভে যাওয়া সাধারণত বাতাসের চাপ, ইলেকট্রিকাল ত্রুটি বা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণে হতে পারে। তবে কাহিনীর ভৌতিক দিকটি যুক্ত করার জন্য এই ঘটনাগুলোকে অতিপ্রাকৃত রূপ দেওয়া হয়েছে।