ব্রাউন: একাকীত্ব জীবনের দুঃখের কাহিনী | Sad Story to Make You Cry

0

ব্রাউন: একটি শিক্ষনীয় দুঃখের গল্প। Bengali দুঃখের Stories

ব্রাউন: একাকীত্ব জীবনের দুঃখের কাহিনী | Sad Story to Make You Cry

প্রিয় বন্ধুগণ, আজ তোমাদের জন্য Info Edu Story নিয়ে এসেছে একটি দুঃখের কাহিনী । গল্পের নাম 'ব্রাউন' (Brown)।গল্পের রচয়িতা সারমিন সরকার। 

আমাদের এই ওয়েবসাইট তোমরা পাবে সুন্দর সুন্দর ভুতের গল্প , ভুতের গল্প বাচ্চাদের , ভুতের গল্প সমগ্র ,দুঃখের কাহিনী ,প্রেমের কাহিনী,মজার গল্প,Bengali দুঃখের কাহিনী ,বাংলা দুঃখের গল্প । 

আমাদের ওয়েবসাইট এ সংকলিত রয়েছে ভুতের গল্প , প্রেমের গল্প , অভিযানের গল্প , বিজ্ঞানবিষয়ক গল্প ,রহস্যময় গল্প , হাসির গল্প , মজার গল্প , উপন্যাস এবং ছোট গল্প। 

সেরা দুঃখের কাহিনী - 'ব্রাউন'। কষ্টের জীবন কাহিনী। Bengali Sad Story

'ব্রাউন'

একাকীত্ব জীবন যে, কতটা অন্ধকার ময় কতটা কষ্টের সেটা একমাত্র তিনিই উপলব্ধি করতে পারবেন যিনি একাকীত্বে ভুগছেন। এই রকমই একাকীত্বে ভুগছিলেন আমাদের গল্পের নায়ক অনিরুদ্ধ,  জীবনে তার কোনো সাফল্য ছিল না, কোনো সুখ ছিল না। ছোটবেলা থেকে কখনোই তার জীবনে ভালো কিছু আসেনি। খুব ছোটবেলাতেই অনিরুদ্ধ তার বাবা - মা কে হারিয়েছে, আর কোনো সম্পর্ক বা বন্ধুত্বও তার জীবনে স্থায়ী হয়নি। কাজের জায়গাতেও তাকে অবমূল্যায়িত করা হতো, আর ঘরেও একাকী হয়ে কাটতো তার দিন। সবমিলিয়ে ছোটবেলা থেকেই সে তার জীবন টা উপভোগ করতে পারেনি এবং তার নিত্য দিনের সঙ্গী হয়ে ওঠে একাকীত্ব।

একদিন, সন্ধ্যার দিকে, অনিরুদ্ধ এক পার্কে হাঁটতে বের হলো। মনটা ভারী, চোখে ক্লান্তি, মনে একরাশ হতাশা। জীবনের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা যেন শেষ হয়ে গেছে এই সব ভাবতে ভাবতে হাঁটছিলো। হঠাৎ করে একটা কুকুরের ডাকে তার অবাঞ্ছিত ভাবনার ধ্যান ভঙ্গ  হল। ছোট্ট এক প্যাগ কুকুর, পরনে ছিল খোলামেলা পাতলা একটা  পোষাক।  সোজা চলে এসে তার পায়ে ধাক্কা লেগে বসে পড়ল এবং অনিরুদ্ধর পায়ের চারপাশে ঘোরাঘুরি করতে লাগলো ।

কুকুরটি তার দিকে এমন দৃষ্টিতে তাকিয়েছিল , যেন সে বলতে চাইছে যে,  "তুমি একা নও, আমি আছি তোমার পাশে।" প্রথমে অনিরুদ্ধ কিছু বুঝতে পারল না, কিন্তু কুকুরটির শান্ত চোখের দিকে তাকিয়ে তার বুকের ভেতর যেন এক অদ্ভুত অনুভূতি হলো। তার একাকীত্ব, তার দীর্ঘদিনের মনোযোগহীনতা সব কিছু যেন মুছে গেল। কুকুরটি আবার তার চারপাশে ঘুরতে লাগল, যেন সে একমাত্র বন্ধু তার।

অনিরুদ্ধ কুকুরটিকে ঘিরে বসে কিছু সময় কাটালো। তারপর তাকে বাড়ি নিয়ে এসে, নাম দিল "ব্রাউন"। ব্রাউন তার জীবনের প্রথম সত্যিকারের বন্ধু হয়ে উঠল। প্রতিদিন সে ব্রাউনের সাথে সময় কাটাতে লাগল। হাঁটতে যেত, পার্কে খেলতে যেত, অথবা বাসায় বসে একে অপরের সাথে কথা বলতে বলতে, খেলা করতে করতে সময় কাটত।

এভাবেই, ব্রাউন অনিরুদ্ধের জীবনের সঙ্গী হয়ে উঠলো। তার একাকীত্ব আর হতাশা দূর হয়ে গেল। সে বুঝতে পারল, জীবন সবসময় সাফল্য আর সুখের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; মাঝে মাঝে ছোট ছোট সুখও অনেক বড় কিছু হতে পারে। ব্রাউন তাকে দেখিয়ে দিল, জীবনে যেটুকু ভালোবাসা থাকে, সেটুকু মন দিয়ে গ্রহণ করলেই জীবন রঙিন হয়ে  ওঠে।

এইভাবেই শুরু হয়েছিল ব্রাউন এবং অনিরুদ্ধ র এক নতুন জীবনের পথ চলা। যেখানে তারা একে অপরের সাথে খুনসুটি খেলা করে কাটাতো। ব্রাউন কে পেয়ে অনিরুদ্ধ তার অতীতের সব দুঃখ ভুলে গিয়েছিল, তার একাকীত্ব জীবনের অবসান ঘটেছিল।

কিছু মাস পর, অনিরুদ্ধের জীবন একদম পরিবর্তন হয়ে গিয়েছিল। ব্রাউনের সঙ্গে কাটানো প্রতিটি মুহূর্ত তাকে জীবনের নতুন মানে শিখিয়েছিল। সে এখন কাজেও আগের চেয়ে বেশি মনোযোগী ছিল, বন্ধুত্ব আর সম্পর্কের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে গিয়েছিল। কিন্তু এই  সুখ অনিরুদ্ধ এর কপালে বেশিদিন টিকলো না,   তার মধ্যে আবার বিষণ্ণতা ভর করলো , কারণ একদিন, ব্রাউন আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ল।

ব্রাউন: একাকীত্ব জীবনের দুঃখের কাহিনী | Sad Story to Make You Cry

অনিরুদ্ধ প্রথমে কিছুই বুঝতে পারল না। ব্রাউনকে খাবার দিতে গেলেও সে খাচ্ছিল না, খেলতে গেলে তেমন সাড়া দিচ্ছিল না। অনিরুদ্ধ খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ল , রাতের বেলা ব্রাউন এর শরীর  কাঁপতে লাগলো, এবং তার শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে, সে ব্রাউনকে নিকটবর্তী পশুচিকিৎসক হাসপাতালে নিয়ে গেল। ডাক্তার বললেন, ব্রাউনের অবস্থা গুরুতর, তার কিছু পরীক্ষা দরকার। অনিরুদ্ধের বুকের মধ্যে আতঙ্ক জমে উঠল, সে জানতো না কী হবে। 

দিন কাটতে থাকল, আর ব্রাউনের শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হতে লাগল। অনিরুদ্ধ যখনই ব্রাউনের পাশে বসে থাকত, সে নিজের জীবনের সকল কষ্ট এবং নিঃসঙ্গতার কথা ভাবত। তার মনে পড়ত সেই সময়গুলো, যখন সে একা ছিল, জীবনের কোনো উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু এখন, ব্রাউনের জন্য কিছু করার ক্ষমতা ছিল তার হাতে। সে আর কোনোভাবে একাকী থাকতে পারত না। ব্রাউনের জন্য সে সবকিছু করতে চাইল, যতটা সম্ভব তাকে সুস্থ করে তুলতে। কারণ ব্রাউন তার জীবনের একমাত্র সঙ্গী আর কোনো মতেই সে তাকে হারাতে পারবে না । 

দীর্ঘ কয়েক দিন পর, এক সকালে, অনিরুদ্ধ চিকিৎসকের কাছ থেকে ব্রাউনের ভালো হওয়ার খবর পেল। ব্রাউন আবার স্বাভাবিক হয়ে উঠছিল, তার শরীরের শক্তি ফিরে পাচ্ছিল। অনিরুদ্ধের চোখে জল চলে এল। সে বুঝতে পারল, ব্রাউন শুধুমাত্র একটি কুকুর নয়, সে তার জীবনের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। জীবনের অন্ধকার সময়ে, যখন কিছুই খুঁজে পাচ্ছিল না, তখন ব্রাউন তাকে শিখিয়েছিল, ভালোবাসা আর বন্ধুত্বের শক্তিতে সব কিছু বদলে যেতে পারে। ব্রাউন তার জীবনের প্রকৃত বন্ধু। 

ব্রাউন সেরে ওঠার পর, অনিরুদ্ধ তার জীবনকে নতুন করে দেখতে শুরু করল। সে বুঝল, একা থাকলেও কোনো সমস্যা নেই, তবে কাউকে পাশে পেলে জীবন আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। তার সেই কুকুরটি তাকে শিখিয়েছে, একে অপরকে ভালোবাসতে, সহানুভূতি দেখাতে, এবং কখনোই হার না মানতে। 

ব্রাউনের সঙ্গে অনিরুদ্ধের বন্ধুত্ব আরও গভীর হল, এবং তার জীবনও পুরোপুরি নতুন রূপ পেল। সে এখন শুধু ব্রাউনের জন্যই নয়, নিজের জন্যও নতুনভাবে বাঁচতে শুরু করল। জীবনটা আর একাকী লাগত না, কারণ তার জীবনে এখন একজন সত্যিকারের বন্ধু ছিল। 

এভাবে, অনিরুদ্ধ আর ব্রাউন একে অপরের সঙ্গেই নতুন এক পৃথিবী সৃষ্টি করল, যেখানে একাকীত্বের কোনো জায়গা ছিল না।

ব্রাউন ভালো হয়ে উঠছিল। অনিরুদ্ধ প্রতিদিন তাকে নতুন করে জীবন দিতে, তাকে সুস্থ ও শক্তিশালী দেখাতে চেষ্টা করছিল। কিন্তু, এমন এক দিন এল, যা অনিরুদ্ধ কখনোই কল্পনা করেনি। 

এক বিকেলে, যখন তারা একসাথে পার্কে হাঁটছিল, হঠাৎ করে ব্রাউন কিছুটা থমকে দাঁড়িয়ে পড়ল। অনিরুদ্ধ প্রথমে ভাবল, হয়তো কোনো কিছু দেখেছে। কিন্তু, ব্রাউন শান্ত হয়ে গিয়ে আস্তে আস্তে মাটিতে বসে পড়ল এবং অনিরুদ্ধ এর কোলে ঢলে পড়লো, যেমন করে পড়ন্ত বিকালে সূর্য পাহাড়ের কোলে ঢলে পড়ে আর তারপরেই নামে অন্ধকার তেমনই অনিরুদ্ধ এর জীবনেও আস্তে আস্তে অন্ধকার নেমে আসছিল । অনিরুদ্ধ তাড়াতাড়ি ব্রাউন কে  কোলে তুলে নিল, চিৎকার করে ডাকল, ' ব্রাউনননননন '  কিন্তু সে আর কোনো সাড়া দিল না। 

অনিরুদ্ধ তাকে দ্রুত পশুচিকিৎসক হাসপাতালে নিয়ে গেল, কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পর ডাক্তার তার অবস্থা দেখে বললেন, "মাফ করবেন, আমরা কিছুই করতে পারব না।"

ব্রাউনের মৃত্যুর খবর শুনে, অনিরুদ্ধ এক মুহূর্তের জন্য বিশ্বাসই করতে পারল না। তার পৃথিবী যেন থমকে গিয়েছিল, চারিদিকে কী চলছে কিছু বুঝতেই পারছিলনা শুধু মনে পড়ছিল ব্রাউন এর সাথে কাটানো সময় গুলো।  এই ব্রাউনিই তো ছিল তার একমাত্র বন্ধু, তার জীবনের একমাত্র সঙ্গী। সে এতটা একাকী ছিল, ব্রাউনের কাছে এসে জীবনের মানে খুঁজে  পেয়েছিল। কিন্তু সেই ব্রাউন এই আবার তাকে একা ফেলে চলে গেলো সে কী ভাবে আবার একা একা দিন করবে । এইসব ভাবতে ভাবতে এক নার্স এর ডাকে অনিরুদ্ধ  সম্বিত  ফিরে পেলো এবং তখন সে কান্নায় ভেঙে পড়লো হসপিটাল এর সমস্ত স্টাফ আর বাকি যারা ছিল তারা সকলেই অনিরুদ্ধ কে দেখে কেঁদে ফেলেছিল।

এরপর ,দিনের পর দিন, রাতের পর রাত, অনিরুদ্ধ তার নিঃসঙ্গতাকে অনুভব করছিল। ঘরে ফিরে, তার চারপাশে ব্রাউনের অনুপস্থিতি যেন তার আত্মাকে কেটে ফেলছিল। ব্রাউনের শুঁকে থাকা সুগন্ধ, তার হেসে ওঠা মুখ, সেই ছোট্ট হাস্যোজ্জ্বল চোখ — সব কিছু যেন মনে পড়লেই বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠছিলো অনিরুদ্ধ র। 

অনিরুদ্ধ জানত, এই দুঃখ কোনোদিন যাবে না। ব্রাউন তার জীবনে এক অমূল্য সঙ্গী ছিল, যাকে সে কখনোই ভুলতে পারবে না। তার একমাত্র সঙ্গী হারিয়ে যাওয়ার পর, তিনি আবার সেই পুরনো একাকীত্বের মধ্যে ফিরে গেলেও, ব্রাউনের স্মৃতি, তার হাসি, তার ভালোবাসা, একটুকু আশা এখনও তার হৃদয়ে জ্বলতে থাকল। 

অনিরুদ্ধ জীবনের প্রতি নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি পেয়ে ছিল, কিন্তু সে জানত, কখনোই ব্রাউনের অভাব পূর্ণ হবে না। জীবনের সেই ছোট্ট শান্তি, সেই একমাত্র বন্ধুর উপস্থিতি — সব কিছু এক নিমেষে হারিয়ে গেছে । কিন্তু যে ব্রাউন তাকে বাঁচতে শিখিয়েছে যে তাকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে সেই ব্রাউনের স্মৃতি নিয়ে অনিরুদ্ধ তার জীবনের পথ এগিয়ে চলবে। কারণ ব্রাউন অনিরুদ্ধ কে শিখিয়েছে যে , জীবন কারোর জন্যে থেমে থাকে না । জীবন কে প্রকৃতির নিয়মে এগিয়ে নিয়ে চলতেই হবে আর নিজের চেষ্টায় জীবন কে সুন্দর বানাতে হবে , নিজে না চাইলে জীবন কোনোদিন আপনা থেকে সুন্দর হয়না।


শিক্ষনীয় দুঃখের গল্প। কষ্টের জীবন কাহিনী। দুঃখের গল্প ভালোবাসার। কুকুরের কাহিনী 

১. অনিরুদ্ধর জীবনের প্রথম থেকেই তার সাথে কোন সমস্যা ছিল?

ক) অর্থনৈতিক সমস্যা

খ) একাকীত্ব এবং সম্পর্কের অভাব

গ) শারীরিক অসুস্থতা

ঘ) প্রাকৃতিক দুর্যোগ

উত্তর: খ) একাকীত্ব এবং সম্পর্কের অভাব

২. অনিরুদ্ধ কুকুরটির নাম কী রেখেছিল?

ক) ব্ল্যাকি

খ) ব্রাউনি

গ) ব্রাউন

ঘ) স্নো

উত্তর: গ) ব্রাউন

৩. অনিরুদ্ধ ব্রাউনকে কোথায় প্রথম দেখেছিল?

ক) পার্কে

খ) বাড়ির সামনে

গ) রাস্তার ধারে

ঘ) হাসপাতালে

উত্তর: ক) পার্কে

৪. ব্রাউন অনিরুদ্ধকে কী শিখিয়েছিল?

ক) কষ্ট সহ্য করা

খ) ভালোবাসা এবং বন্ধুত্বের শক্তি

গ) কঠোর পরিশ্রম করা

ঘ) নিজের স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া

উত্তর: খ) ভালোবাসা এবং বন্ধুত্বের শক্তি

৫. অনিরুদ্ধ ব্রাউনের অসুস্থতার সময় তাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছিল?

ক) স্থানীয় ক্লিনিকে

খ) পশুচিকিৎসক হাসপাতালে

গ) বন্ধুর বাড়িতে

ঘ) ভেটেরিনারি ট্রেনিং সেন্টারে

উত্তর: খ) পশুচিকিৎসক হাসপাতালে

৬. ব্রাউনের মৃত্যুর পরে, অনিরুদ্ধ কী অনুভব করছিল?

ক) অদ্ভুত শান্তি

খ) গভীর শূন্যতা এবং দুঃখ

গ) জীবনে নতুন আশা

ঘ) রাগ এবং ক্ষোভ

উত্তর: খ) গভীর শূন্যতা এবং দুঃখ

৭. ব্রাউন কীভাবে অনিরুদ্ধর জীবনে পরিবর্তন এনেছিল?

ক) তার পেশাদার জীবন উন্নত করেছিল

খ) তাকে ভালোবাসার মূল্য শিখিয়েছিল

গ) তার শত্রুদের পরাজিত করেছিল

ঘ) তার সম্পত্তি বাড়িয়েছিল

উত্তর: খ) তাকে ভালোবাসার মূল্য শিখিয়েছিল

৮. ব্রাউনের মৃত্যুর পরে অনিরুদ্ধ কী শিখেছিল?

ক) জীবন থেমে থাকে না

খ) শুধুমাত্র দুঃখই জীবনের সঙ্গী

গ) জীবনে সাফল্যই সব

ঘ) বন্ধুত্ব অর্থহীন

উত্তর: ক) জীবন থেমে থাকে না

৯. ব্রাউন কী ছিল?

ক) অনিরুদ্ধর পরিবারের সদস্য

খ) অনিরুদ্ধর জীবনের প্রথম প্রকৃত বন্ধু

গ) একটি বড় কুকুর

ঘ) একটি বিড়াল

উত্তর: খ) অনিরুদ্ধর জীবনের প্রথম প্রকৃত বন্ধু

১০. গল্পটি মূলত কোন বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখা?

ক) সাফল্যের গল্প

খ) ভালোবাসা এবং বন্ধুত্বের শক্তি

গ) পশুপালনের গুরুত্ব

ঘ) দুঃখের গল্প

উত্তর: খ) ভালোবাসা এবং বন্ধুত্বের শক্তি


সেরা কুকুরের ভালোবাসার গল্প। কুকুরের সাথে মানুষের দুঃখের কাহিনী। Sad Story

1. অনিরুদ্ধের একাকীত্বের কারণ কী ছিল?

উত্তর: অনিরুদ্ধ তার ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়েছিল। তার কোনো স্থায়ী সম্পর্ক বা বন্ধুত্ব ছিল না, এবং কাজের জায়গায় তাকে অবমূল্যায়িত করা হতো।

2. অনিরুদ্ধ কীভাবে ব্রাউনের সঙ্গে প্রথম পরিচিত হয়েছিল?

উত্তর: একদিন সন্ধ্যায় পার্কে হাঁটার সময় একটি ছোট প্যাগ কুকুর তার কাছে এসে পায়ে ধাক্কা দেয় এবং তার চারপাশে ঘোরাঘুরি করতে থাকে।

3. ব্রাউন অনিরুদ্ধের জীবনে কীভাবে পরিবর্তন এনেছিল?

উত্তর: ব্রাউন অনিরুদ্ধের জীবনে ভালোবাসা এবং বন্ধুত্বের নতুন অর্থ এনে দিয়েছিল। অনিরুদ্ধের একাকীত্ব দূর করে তাকে জীবনের ছোট ছোট আনন্দের মূল্য বুঝিয়েছিল।

4. ব্রাউনের অসুস্থতার সময় অনিরুদ্ধ কী পদক্ষেপ নিয়েছিল?

উত্তর: ব্রাউনের অসুস্থতা দেখে অনিরুদ্ধ তাকে নিকটবর্তী পশুচিকিৎসক হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং তার চিকিৎসার জন্য সবরকম চেষ্টা করে।

5. ব্রাউনের মৃত্যুর পর অনিরুদ্ধ কীভাবে তার জীবনকে সামলে নেয়?

উত্তর: ব্রাউনের মৃত্যুর শোক অনিরুদ্ধকে ভেঙে দেয়, কিন্তু ব্রাউনের ভালোবাসা এবং স্মৃতি তাকে শিখিয়েছিল জীবনের প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এগিয়ে যেতে।

6. ব্রাউন গল্পের মূল ভাব কি ?

উত্তর : - ব্রাউন গল্পটি একাকীত্ব ও ভালোবাসার গভীর মানবিক অনুভূতির প্রতিফলন। এটি একা মানুষ ও প্রাণীর মধ্যে গড়ে ওঠা অটুট বন্ধনের গল্প। গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে অনিরুদ্ধ ও তার পোষা কুকুর ব্রাউনের সম্পর্ক, যা জীবনের কঠিন সময়ে ভালোবাসা, সান্ত্বনা ও বন্ধুত্বের মর্ম বোঝায়। ব্রাউন শুধু একটি পোষা প্রাণী নয়, বরং অনিরুদ্ধের জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী। গল্পটি আমাদের শেখায় যে ভালোবাসা এবং বিশ্বাস মানুষের জীবনের গভীর শূন্যতাকে পূর্ণ করতে পারে। এটি জীবনের ছোট ছোট আনন্দ এবং সম্পর্কের গুরুত্বের প্রতি আমাদের সচেতন করে তোলে। ব্রাউনের মাধ্যমে গল্পে জীবনের সৌন্দর্য ও হারানোর বেদনার সংমিশ্রণ চমৎকারভাবে ফুটে ওঠে।


Comment করে অবশ্যই জানাবে তোমাদের গল্পটি কেমন লাগলো। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
তারানাথ তান্রিক সমগ্র
তারানাথ তান্রিক সমগ্র - বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায় ও তারাদাস বন্দোপাধ্যায়